al-azhar-512png
bismillah-png-transparent-images-png-only-14

المنظمة العالمية لخريجي الأزهر الشريف فرع بنغلاديش

The World Organization for al-Azhar Graduates Bangladesh Branch

logo1
al-azhar-512png
bismillah-png-transparent-images-png-only-14
المنظمة العالمية لخريجي الأزهر الشريف فرع بنغلاديش

The World Organization for al-Azhar Graduates Bangladesh Branch

logo1

বাণী

আলহাজ্ব সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান

হাজার বছরের স্মৃতি বিজড়িত জ্ঞান-বিজ্ঞান ও মারেফতের কেন্দ্র আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয় ৯৭০ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে এই অবধি প্রায় ১০৮২ বছর ধরে নিষ্ঠার সাথে দেশি- বিদেশী লক্ষ লক্ষ জ্ঞানপিপাসুদেরকে বিনামূল্যে জ্ঞানের ক্ষুধা মিটিয়ে যাচ্ছে। একথা অনস্বীকার্য যে, আল আযহার মধ্যমপন্থা অবলম্বনের মাধ্যমে ইসলামের সঠিক রূপরেখা তুলে ধরার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কেননা আল-আযহারের মিশন ও ভিশন হচ্ছে পবিত্র আল কুরআনের সুরা বাকারার ১৪৩ নং আয়াতের বাস্তব প্রতিচ্ছবি :

[البقرة: 143] {وَكَذَلِكَ جَعَلْنَاكُمْ أُمَّةً وَسَطًا لِتَكُونُوا شُهَدَاءَ عَلَى النَّاسِ وَيَكُونَ الرَّسُولُ عَلَيْكُمْ شَهِيدًا} 

আর এভাবেই আমি তোমাদেরকে মধ্যপন্থী উম্মত বানিয়েছি, যাতে তোমরা মানুষের উপর সাক্ষী হও এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও সাক্ষী হন তোমাদের উপর। (২: ১৪৩)

যুগ যুগ ধরে আল আযহার শরীফ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আকিদা অনুসারে পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, আকিদার দুটি প্রসিদ্ধ School of Thought হচ্ছে আশ’য়ারী ও মাতুরিদি আইডিওলজি। আল আযহার আশ’য়ারি ধারাকে অনুসরণ করে এবং মাতুরিদি ধারার প্রতিও পরিপূর্ণ ভক্তি-শ্রদ্ধা রাখে। তরিকত তাসাউফ ও সুলুকের ক্ষেত্রে ইমাম জুনাইদ আল বাগদাদী (রহ:) এর তাসাউফকে মডেল হিসেবে গ্রহণ করেছে। যেটি শতভাগ শরীয়ত সম্মত।

যাইহোক, The World Organization for Al-Azhar Graduates এই সংস্থাটি গঠনের ধারণা ও উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় মূলত ১১-১৩ ই এপ্রিল ২০০৬ সালে মিশরের কায়রোয় অনুষ্ঠিত আল-আযহার গ্রাজুয়েটসদের জন্য আয়োজিত প্রথম গ্লোবাল করফারেন্সে। কনফারন্সের আয়োজক ও উপস্থিত সকল সদস্য অনুধাবন করেন যে, বিশ্বব্যাপী আল-আযহার গ্রাজুয়েটসদের সেতুবন্ধন ও কুরআন সুন্নাহর আলোকে মধ্যমপন্থা অবলম্বনের মাধমে আযহার শরীফের সঠিক মেসেজ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব অপরিসীম হয়ে দাঁড়িয়েছে। উক্ত ধারণা ও উদ্যোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৭ সালে মিশরীয় আইনের ৭১৪৫ নং ধারা অনুসারে তৎকালীন আযহারের গ্রান্ড ইমাম তথা শাইখুল আযহার ড. সাইয়্যেদ তানতাভী (রহ.) বর্তমান গ্রান্ড ইমাম বা শাইখুল আযহার ড. আহমাদ আত তাইয়্যেব হাফিযাহুল্লাহ এবং মিশরের সাবেক ধর্মমন্ত্রী ড. হামদি যাকযুক( রহ.) সহ একঝাঁক আযহারি স্কলারদের উপস্থিতি ও অক্লান্ত পরিশ্রমে এই সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত হয়।

বলা বাহুল্য যে, ইমামুল আকবার শাইখুল আযহার আহমাদ মুহাম্মদ আহমাদ আত তাইয়্যেব (হাফিযাহুল্লাহ) কর্তৃকছবি অর্পিত বাংলাদেশের সকল আযহারিদের অভিভাবকত্ব গ্রহণের এই দায়িত্বের পর থেকে আমরা পুরো টিম সংগঠনটির লক্ষ্য উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে নানাবিধ  কর্মসূচী ও পদক্ষেপ গ্রহণ করি।  যেমন, যেমন, ন শাখার আদলে াখার জন্য কায়রে নিয়ে বিশেমাদ্রাসা শিক্ষাবআল আযহারের আরবি ভাষা কোর্স  চালু করা, বাংলাদেশি সকল আযহারিদের ইন্ডেক্স এন্ড ডাটাবেজ প্রস্তুতকরণ, আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক ইমাম ট্রেনিং পরিচালনা ও সনদ প্রদান করা, আল আযহারের মানহাজ সর্বস্তরের জনগনের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার মানসে আযহারি ও নন-আযহারি স্কলার ও খতিবদের মাধ্যমে সারাদেশের বিভিন্ন মাসজিদে বিষয়ভিত্তিক দ্বীনি আলোচলার আয়োজন করা, ইসলামিক রিসার্স এন্ড পাবলিকেশন্স সেন্টার চালু, বিষয়ভিত্তিক সাপ্তাহিক ধর্মীয় লাইভ, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একাডেমিক দারস বা লেকচারের আয়োজন, প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ ও পূনর্বাসন, দুঃস্থ ও গরিবদের জন্য ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পিং, বিষয়ভিত্তিক বিভিন্ন শর্টকোর্স, বিভিন্ন একাডেমিক কুইজ ও কুরআন হাদিস মুখস্ত প্রতিযোগিতা, আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের সাথে মু‘য়াদালা তথা সমতা সৃষ্টি করা, বিভিন্ন ধর্মীয় ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সনামধন্য স্কলারদেরকে নিয়ে বিশেষ বিশেষ অনলাইন/ অফলাইন আলোচনা সভা ও সেমিনার আয়োজন, আল আযহারে অধ্যয়নরত দরিদ্র ও মেধাবি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ প্রদান ইত্যাদি। 

এছাড়াও আরোও যেসকল কার্যক্রম পক্রিয়াধীন রয়েছে তা হচ্ছে, বাংলাদেশে মা‘হাদুল আযহার তথা আল আযহার ইনস্টিটিউট (আযহারের প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি লেভেল) চালু করা, লোকাল ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন একাডেমিক ও ধর্মীয় কনফারেন্স, সভা- সেমিনার  ইত্যাদির আয়োজন করা, আযহারি স্কলারদের আরবি জার্নাল-আর্টিকেলগুলো অনুবাদ ও প্রকাশনা, আল আযহারের আরবি ভাষাকোর্স এবং ইমাম ট্রেনিং বাংলাদেশে নিয়ে আসা, বিভিন্ন ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা, মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান করা, বিভিন্ন ক্যাটাগরির সেচ্চাসেবায় অংশগ্রহন করা, দাওয়াত ও ফতোয়া প্রদান সংক্রান্ত বিভিন্ন ট্রেনিংয়ের আয়োজন করা, এসোসিয়েশনের ও মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সাথে সম্পৃক্ত সারাবিশ্বে ছড়িয়ে থাকা এসোসিয়েশনের শাখাগুলোর সাথে যোগাযোগ ও সুসম্পর্ক জোরদার করা ইত্যাদি।

একথা দিবালোকের মত সত্য যে, বর্তমানে পৃথীবির বিভিন্ন প্রান্তে কিছু উগ্রপন্থী নামধারী মুসলমানরা ইসলামের সুমহান, আদর্শ, সম্প্রীতি, ডাইভার্সিটি ইত্যাদিকে কলংকিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করছে। এমতাবস্থায় ইসালামের সঠিক মেসেজ তথা আল আযহারের মানহাজ বা মধ্যমপন্থা অবলম্বনের মাধ্যমে ইসলামের অনুপম আদর্শ তুলে ধরে পুনরুদ্ধার করা সম্ভব। আর এই লক্ষ্যেই আমাদের মুনাজ্জামা কাজ চালিয়ে যাবে ইনশা আল্লাহ। কারণ আমরা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, Divine blessings mixed with hard work backed by good intention can make miracle.

পরিশেষে, এই ওয়বসাইটটি বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় যুগোপযোগী নানামূখী কর্মসূচী ও পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে টনিক হিসেবে কাজ করবে বলে আমরা আশাবাদী।  পাশাপাশি মধ্যমপন্থা অবলম্বনের মাধ্যমে আল-আযহারের মিশন ও ভিশন বাস্তবায়নে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সারা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় এই মহান মিশন বাস্তবায়নে ওয়বসাইটটির সাথে সর্বদা সম্পৃক্ত থাকবেন বলে আমরা আশাবাদী। মহান আল্লাহ আমাদের সকলের প্রচেষ্টাকে কবুল করুন। আমীন।

Shopping Basket
al-azhar-512png
al-azhar-512png